স্টাফ রিপোর্টার : আল্লাহ এবং মাওলানা শায়েখ আব্দুর রহমান দীগলবাগীকে নিয়ে ফেইসবুকে অশ্লীল ভিডিও প্রচারের ঘটনায় দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রধান দুই আসামী আলমগীর আলম ও জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই খুর্শেদ আলম গ্রেফতারকৃত দুই আসামী আলমগীর আলম ও জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।
মঙ্গলবার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রথমে রিমান্ডের প্রার্থনা করেন আদালত পরিদর্শক আল আমিন। পরে বাদী পক্ষেল নিযুক্তীয় আইনজীবী এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামন শুনানী করেন। বাদী পক্ষে আরও শুনানীতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন, এডভোকেট শেখ ফরহাদ এলাহী সেতু,এডভোকেট আব্দুল হাই, এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, এডভোকেট শিবলী খায়ের, এডভোকেট আজিজুর রহমান সজল খান, এডভোকেট শেখ সামছুল হক ও এডভোকেট নুরুল ইসলাম।
আসামীদের পক্ষে রিমান্ডের বিরোধীতা করেন এডভোকেট ইকবাল ভূইয়া, এডভোকেট আবুল ফজল, এডভোকেট আফজাল আহমেদ ও এডভোকেট সেলিম আহমেদ। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার শহীদ নগর থেকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের আফজল মিয়ার ছেলে আলমগীর আলম (৩২) ও তার সৎভাই জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
এর আগে এই দুই আসামীদের ইন্দনদাতা হিসাবে গোপায়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রজব আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ বিভিন্ন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করলেও পুলিশ আসামীদেরকে গ্রেফতার করায় সেই কর্মসূচি স্থগিত হয়। তবে হিজবুত তাওহিদ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবীতে ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি পালন করে।